'এক দেশ, এক নির্বাচনের' পথে হাঁটছে কেন্দ্র, রামনাথ কোবিন্দকে বিশেষ দায়িত্ব BJP-র

'এক দেশ, এক নির্বাচন' প্রস্তাব নিয়ে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) একটি কমিটি গঠন করা হয়।

'এক দেশ, এক নির্বাচনের' পথে হাঁটছে কেন্দ্র, রামনাথ কোবিন্দকে বিশেষ দায়িত্ব BJP-র
ছবি সৌজন্যে- টুইটার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: অনেকদিন আগেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে 'এক দেশ এক নির্বাচন' (One Nation One Election) নিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার (Centre Government)৷ তৈরি করা হল একটি বিশেষ কমিটি৷ কমিটির মাথায় বসানো হল ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে (Ramnath Kovind)৷ সূত্রের খবর, এই কমিটিতে আরও দু'জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরও থাকার কথা৷ ভারতের মতো বড় এবং ব্যাপক জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশে 'এক দেশ এক নির্বাচন' কতটা বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা করাই এই কমিটির প্রাথমিক কাজ বলে জানা গিয়েছে৷ 

সূত্রের খবর, 'এক দেশ, এক নির্বাচন' প্রস্তাব নিয়ে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) একটি কমিটি গঠন করা হয়। সূত্রের খবর, এই কমিটির মাথায় থাকছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বৃহস্পতিবারই, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন হবে। তারপরই, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, বিশেষ অধিবেশনে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই প্রস্তাবের নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করেছে Modi সরকার। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, একইসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হবে। মোদী সরকারের মতে, এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে। আবার, নির্বাচিত সরকারগুলিও কাজ করার জন্য বেশি সময় পাবে। এই কমিটি সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। আইনি এবং রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রের মতামত গ্রহণ করবে।

 জানা গিয়েছে, দুই জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিটির সদস্য হবেন। এছাড়া, মন্ত্রিসভার সচিব, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক নেতারা এই কমিটিতে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, আসন্ন বিশেষ অধিবেশনেই এই বিষয়ে কোনও বিল পেশ করা হবে কিনা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এই পরিবর্তনের সঙ্গে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ও জড়িত। সংসদের বিশেষ অধিবেশনে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে, সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন হবে। এর জন্য লোকসভার ৬৭ শতংশ সদস্য, রাজ্যসভার ৬৭ শতাংশ সদস্য এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির ৫০ শতাংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন।


২০২২ সালের জাতীয় ভোটার দিবসে, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ এবং এক দেশ, এক ভোটার তালিকা’র প্রস্তাব রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, দেশে ক্রমাগত নির্বাচন চলার ফলে, প্রতিটি বিষয় নিয়ে রাজনীতির প্রবণতা দেখা যায়। আর এর জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয় উন্নয়নের কাজ। বিরোধী দলগুলি অবশ্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। এর ‘ব্যবহারিক’ অসুবিধাগুলির কথা উল্লেখ করে তারা দাবি করেছে, সরকারের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য, বিরোধী দলগুলিকে খতম করা।