কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে সাজসাজ রব তারাপীঠে, জানুন এই পুজোর পৌরাণিক কাহিনী

ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি।

কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে সাজসাজ রব তারাপীঠে, জানুন এই পুজোর পৌরাণিক কাহিনী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: উৎসবের মরশুম আসন্ন। তাই তো হাতে আর বেশি সময় নেই। সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা। টানা দু'বছর পর চলতি বছরে তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো ঘিরে সাজসাজ রব। শেষ মুহুর্তে ভক্তসমাগমের আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।

 হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন তিথিতেই মা কালীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। দেবীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা, সেটাই কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত। এই পুজোর সঙ্গে জড়িত আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি।

 কৌশিকী অমাবস্যার পবিত্র লগ্নে তারাপীঠ মন্দিরে, বিশেষ উপাচারে পুজো করা হয় তারা মায়ের। তন্ত্রশাস্ত্র মতে ভাদ্র মাসে কৌশিয়্ঙ বা কৌশিকী অমাবস্যা এক বিশেষ তিথি। শ্রীশ্রী কেতু গ্রহের আবির্ভাবের ফলে, তন্ত্র এবং গুপ্ত সাধনার ফলে মেলে সুফল। 
এই তিথিতেই নাকি তারাপীঠের মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল গাছের তলায় সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। সেই বিশ্বাসেই কৌশিকী অমাবস্যাতে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীদের ভিড় হয় তারাপীঠে। 

এবারে ইংরেজি ২৭ অগাস্ট ( বাংলা ১০ই ভাদ্র) শনিবার ঘ ১/২৩/৩১ থেকে ২৮ অগাস্ট (১১ ভাদ্র), রবিবার ২/২০/৩০ পর্যন্ত থাকবে এই অমাবস্যা। বিগত দু'বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে কৌশিকী আমাবস্যায় বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দির। এবছর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু। প্রশাসনের অনুমান, এ বছর প্রায় ৫ লাখ ভক্ত সমাগম হতে পারে। তাই সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পানীয় জল থেকে শুরু করে নদীতে যান চলাচল এবং স্নান যাত্রাতেও নিয়ে আসা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ। তবে শুধু তারাপীঠেই নয়। রাজ্যের সর্বত্র বামা কালী মা পূজিত হয়ে থাকেন কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে।