কীটনাশকের দামে আগুন, উৎসবের মরশুমে অথৈ জলে ফুল চাষিরা

শীত মানেই নানা পিঠেপুলির উৎসবের পাশাপাশি রকমারি ফুলের বাজার। কারণ, বছরের এই সময়টাতে বিয়ের মরশুম থাকায় বাজারে ব্যাপক ফুলের চাহিদা থাকে।

কীটনাশকের দামে আগুন,  উৎসবের মরশুমে অথৈ জলে ফুল চাষিরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আকাশে-বাতাসে হিমের পরশ। সেভাবে জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও ডিসেম্বর মানেই শীতকাল শুরু। আর শীত মানেই নানা পিঠেপুলির উৎসবের পাশাপাশি রকমারি ফুলের বাজার। কারণ, বছরের এই সময়টাতে বিয়ের মরশুম থাকায় বাজারে ব্যাপক ফুলের চাহিদা থাকে। কিন্তু একদিকে এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব, অন্যদিকে ফুল চাষে সঠিক কীটনাশক না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন জেলার ফুল চাষিরা।

 জানা গিয়েছে,  বীজ, চারার গুণগত মান অনুযায়ী ফলনে কোনও ঘাটতি নেই! তবে এক বছরের মধ্যে সারের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে ফুল চাষে এই সারের খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। তবে তার থেকেও বেশি প্রয়োজন হয় কীটনাশকের। কখনও ল্যাদা পোকা, কখনও বা ফুলের দাগ সৃষ্টিকারী রোগ সারাতে বহু মূল্যের কীটনাশক দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক অফিসের কৃষি  আধিকর্তাদের কোন সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 

এই বিষয়ে কৃষকরা জানিয়েছেন, এ বছরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হওয়ার কারণেই এত রোগ সৃষ্টি হয়েছে ফুল গাছে। তারা বলেন, ''বাজারে যথেষ্ট চাহিদা আছে। গুণগত মান ভালো হলে, লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যেত। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক বিক্রেতারা, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তাদের উৎপাদিত কীটনাশক বিক্রি করে থাকে ছোটখাটো ওষুধসারের দোকানে, কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয় না। সরকারি ভাবে পরীক্ষিত কীটনাশক অপেক্ষাকৃত বেশি কার্যকরী, কিন্তু বিনামূল্যে তো দূরে থাক, মূল্য দিয়েও বাজারে মেলে না।''

এদিকে দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকায় অনুৎসাহী হয়ে পড়ছেন ফুল চাষিরা। অথচ এই কৃষকরায় একদিন বিভিন্ন রকম চাষ ছেড়ে ফুল চাষে, আগ্রহী হয়েছিলেন। যদিও কিছু বছরের মধ্যে প্রত্যেক মাঠে ব্যাপক পরিমাণে ফুল চাষ হওয়ার ফলে কিছুটা চাহিদা কমেছে। তবে আন্তরাজ্য এবং রাজ্যের বাইরেও বিক্রির বাজার হিসেবে যোগাযোগ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।