Manipur Violence: 'ভারতবর্ষের সংবিধানকে নষ্ট করার একটা নিদর্শন হয়েছে মণিপুর': BJP-কে আক্রমণ ফিরহাদের

প্রতিটা ঘটনায় অন্যায়। কিন্তু মণিপুরে যেটা হয়েছে সেটা BJP'র প্ররোচনায় হয়েছে।  মণিপুরের এই খেলা আজকে নয়, সরকার গঠনের সময় থেকে হয়ে আসছিল।

Manipur Violence: 'ভারতবর্ষের সংবিধানকে নষ্ট করার একটা নিদর্শন হয়েছে মণিপুর':  BJP-কে আক্রমণ ফিরহাদের
তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাজধানীর পর বাংলা। মণিপুরের ঘটনার প্রতিবাদের আঁচ কলকাতায়। নৃশংস, বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ও মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবিতে সোমবার পথে নামল তৃণমূল। এদিন রাজ্য তৃণমূল জয় হিন্দ বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।

সোমবার দুপুরে কলকাতার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী ও কর্মী সমর্থকরা। মিছিল শেষে এক সভার আয়োজন করা হয়। সোমবারের প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''মালদহে যেটা হয়েছে, সেটা জাতি বিদ্বেষ নই। রাগ করে কাউকে ধর্ষন করেনি। কেউ কাউকে লাঞ্চিত করেনি। যেটা হয়, কেউ চোর চোর করে হই হই করল। এরকম হাটে বাজারে অনেক সময় ডাইনি অপবাদে এরকম ঘটনা ঘটে। এখানেও ঠিক সেই ঘটনা হয়েছে। যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে, পাপ হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করা উচিত এবং দোষীরা গ্রেফতারও হয়েছে।''

তিনি আরও বলেন, ''মণিপুরে যেটা হয়েছে বা যা হচ্ছে তা নারীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। মাতৃ বা মায়ের আজ লাঞ্ছিত হচ্ছে ভারতে। সেটা মণিপুরের হোক কিংবা দিল্লির নির্ভয়া। প্রতিটা ঘটনায় অন্যায়। কিন্তু মণিপুরে যেটা হয়েছে সেটা BJP'র প্ররোচনায় হয়েছে।  মণিপুরের এই খেলা আজকে নয়, সরকার গঠনের সময় থেকে হয়ে আসছিল। ডাবল ইঞ্জিন আসার আগে মণিপুর এরকম ছিল না। এই রকম বিদ্বেষ ছিল না। এই বিদ্বেষ তৈরি করার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত আছে। ভারতবর্ষটাকে আবার ভাঙার চক্রান্ত করছে BJP। ভারতবর্ষের সংবিধানকে নষ্ট করার একটা নিদর্শন হয়েছে মণিপুর। সেই মণিপুরের প্রতিবাদ আজ ভারতবর্ষের পার্লামেন্টে দেখা যাচ্ছে।'' 

মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি একই সুরে এদিন বিজেপিকে তোপ দাগেন TMC বিধায়ক দেবাশীষ কুমারও। তিনি বলেন, ''এতদিন ধর্মের নামে বিভাজন চলছিল। আজকে দুটো সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন করে মণিপুরের এই ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর সবর্ত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অথচ মণিপুর যাওয়ার সময় পাননি তিনি। মণিপুরের নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াননই তিনি। যেদিন সংসদ খুলল সেদিন অর্থাৎ মণিপুরের ঘটনার প্রায় ২ মাস পর তিনি বিবৃতি দিচ্ছেন। এটা ভারতবর্ষের লজ্জা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ভারতের লজ্জা।''