Abhishek Banerjee News: রাজঘাটে ধর্না শেষ তৃণমূলের, পুলিশি সক্রিয়তায় মাঝপথে সাংবাদিক বৈঠক অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরলেন অভিষেক

সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রাজঘাটের সামনে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎই বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ।

Abhishek Banerjee News: রাজঘাটে ধর্না শেষ তৃণমূলের,  পুলিশি সক্রিয়তায় মাঝপথে সাংবাদিক বৈঠক অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরলেন অভিষেক
রাজঘাটে ধর্নায় তৃণমূল (ছবি সৌজন্যে-টুইটার)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নায় শাহের পুলিশের (Delhi Police) বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ। শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজঘাটে ধর্নায় দিল্লি পুলিশ ও CRPF-এর বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্না শেষে শাহ-মোদীকে ফের একহাত নিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড Abhishek Banerjee। 

সোমবার রাজঘাটে ধর্না শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের সরকারকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, ''শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজঘাটে ধর্না দিচ্ছিল তৃণমূল। CBI তদন্ত চাই বিজেপি নেতারা, যত খুশি করুক। যারা দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। বারবার এসে উঠে যেতে বলে দিল্লি পুলিশ। গিরিরাজ সিংহের কারণে সন্তানহারা বাংলার পরিবার। CBI তদন্ত হলে গিরিরাজ সিংহের বিরুদ্ধে হওয়া উচিত। টাকা আটকাতে বাংলার BJP সাংসদরা দিল্লি এসেছেন।'' 

অভিষেক আরও বলেন, ''রাজঘাটে দিল্লি পুলিশ, CRPF এসে ধাক্কাধাক্কি করে। বারবার আমাদের উঠে যাওয়ার জন্য বলতে থাকেন। বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ণ কাজ করে ভাতে মারতে চাই। বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। কোনও কিছু করেই বাংলার মানুষকে দমানো যাবে না। যারা দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। বারবার এসে উঠে যেতে বলে দিল্লি পুলিশ। গিরিরাজ সিংহের কারণে সন্তানহারা বাংলার পরিবার। মেরুদণ্ড সোজা রেখে দিল্লিতে ঢুকেছি, এটাই বাংলা।'' 

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ রাজঘাটের সামনে সাংবাদিক বৈঠক শুরু করছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎই বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ। তারা জানায় এ বার কথা বন্ধ করতে হবে। ফাঁকা করে দিতে হবে রাজঘাট চত্বর। কারণ গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে আসবেন সাধারণ মানুষ। তাদের জন্য গেট খুলতে হবে। আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দিতে হবে এলাকা। এ নিয়ে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় অভিষেকের।

অভিষেক তাঁদের বলেন, ''আপনারা গেট খুলে দিন। মানুষকে আসতে দিন।'' কিন্তু দিল্লি পুলিশ সে কথা না শুনে কানের কাছে ক্রমাগত হুইসল বাজাতে শুরু করে বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে দিল্লি পুলিশের সেই নিরন্তর হুইসলের শব্দে কথা বলা সম্ভব হচ্ছিল না। তার পরও অভিষেক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর সাংবাদিক বৈঠক। কিন্তু এর পর মাইকে ঘোষণা করে তাঁকে এলাকা ছাড়তে বলা হয়। দিল্লি পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা ঘোষণা করেন অবিলম্বে যেন অভিষেক-সহ জায়গাটি ফাঁকা করে দেন। পরমুহূর্তেই দেখা যায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিরপত্তারক্ষীরা ঢুকে পড়েছেন তৃণমূলের জমায়েতের ভিতরে। এর পরেই অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক বন্ধ রেখে মাঝ পথে গাড়িতে বসে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।