অতিমারি পরবর্তী অবসাদ! মনকে চাঙ্গা রাখুন এই উপায়ে...

অতিমারি পরবর্তী অবসাদ! মনকে চাঙ্গা রাখুন এই উপায়ে...
অতিমারি পরবর্তী অবসাদ! মনকে চাঙ্গা রাখুন এই উপায়ে...

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কালান্তক করোনার কালবেলা কাটিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা।  কোভিডের পর বাড়ছে মানসিক অবসাদ। আট থেকে আশি সবাই কমবেশি ঘরে বাইরে মানসিক অবসাদ, ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন। 

কিন্তু কীভাবে এই অবসাদ দ্রুত কাটিয়ে উঠবেন? তার সমাধান দিলেন বিশিষ্ট  চিকিৎসকরা।
শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব ও পারিবারিক অবহেলার কারণে প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে পৃথিবীর কিছু দেশ এই দিনটাকে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহ পালন করে আসছে। এবছর মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল থিম হল,  "মেন্টাল হেলথ ইস এ ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস"। অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের অধিকার।

 সারা বিশ্বের মতো এ রাজ্যেও বিশেষ এই  দিনটি পালিত হচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। কলকাতার যোধপুর পার্কের মিরাকেল ইনস্টিটিউট অফ সাইক্রিয়াটিতে পালিত হল 'কলকাতা মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস সিম্পোজিয়াম।'

 যেখানে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ের উপদেষ্টা ও SSKM হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির প্রাক্তন অধিকর্তা ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, 'করোনা পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বজুড়ে মানসিক অবসাদে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আগে যেখানে ৪০ সেকেন্ডে একজন করে আত্মহত্যা করত। কোভিড পরবর্তী সময়ে ৩৪ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ আত্মহত্যা করছেন। কারণ, মানসিক অবসাদ! কোভিড অতিমারির পর এখন শুরু হয়েছে অবসাদের অতিমারি!

 তিনি আরও বলেন, মানসিক অবসাদ কাটাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি যদি দেখা যায়, কেউ স্বাভাবিক আচরণ করছে না। খিদে কমে গিয়েছে। ঘুম কমে গিয়েছে।  তাহলে তাৃকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।

মুম্বইয়ের বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর নিলেশ সাহা বলেন, সময় যত যাচ্ছে বড়দের পাশাপাশি ছোটোদের মধ্যেও নানা চিন্তা সংক্রান্ত  রোগ বা অ্যাংজাইটি ডিসওর্ডার বাড়ছে। এ ব্যাপারেও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিয়মিত ওষুধ সেবন, কাউন্সিলিং ও যোগার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। 

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অশোক নাথ বসু৷ প্রাক্তন ডিন দিপঙ্কর ঘোষ। স্থনীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাস ও অন্যান্য সাধারণ মানুষ এই প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে কতটা সুস্থ আছেন সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।