DI-এর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভি্যোগ, আদালতে তলব বিচারপতির

স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাতপাত নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক প্রণব ভট্টাচার্য। তারপর কী হল জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন...

DI-এর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভি্যোগ,  আদালতে তলব বিচারপতির
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিবাদ নিরসন করতে হবে ডিআই-কে (DI)। অথচ দুপক্ষের বিবাদ মেটানোর বদলে প্রধান শিক্ষককে বদলির বিষয় নিয়ে বৈঠক ডাকেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা ডিআই। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিবাদের মীমাংসা করার বদলে কেন এক পক্ষকে সমর্থন এই প্রশ্ন তুলে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই-কে তলব বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। 

পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার গোপালগঞ্জ মানেভবন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাতপাত নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক প্রণব ভট্টাচার্য। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বদলির দাবি আগেই উঠেছিল। একাধিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কাছে সেই দাবি তুলেছিলেন। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তেরোশো ছাত্রছাত্রীর এই স্কুলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। স্কুলের অচলাবস্থা কাটাতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা ডিআইকে মধ্যস্থতা করার পরামর্শ দেয় হাইকোর্ট। দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ডিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অথচ মীমাংসার বদলে ডিআই দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক ডাকেন। যেখানে আলোচ্য সূচি হিসেবে প্রধান শিক্ষকের বদলি এই বিষয়টি জানানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই বৈঠকের রেজোলিউশনে কোনও সই করতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক প্রণব ভট্টাচার্য।

 প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, তার আগে স্কুলের টিচার ইনচার্জ ছিলেন ম্যানেজিং কমিটিরই এক সদস্য। তিনি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হওয়ার পর টিচার ইনচার্জ পদটি অবলুপ্ত হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পদ থেকে অপসারিত হন। যিনি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারপর থেকেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা রকম চাপ সৃষ্টি ও নানা অভিযোগ বাড়তে থাকে বলে আদালতকে জানান প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু শুনানি পর্বে বলেন, 'কোনভাবেই স্কুলে অচলাবস্থা তৈরি করতে দেওয়া যাবে না। সে কারণেই ডিআইকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য আদালত পরামর্শ দিয়েছে। অথচ হাইকোর্টের পরামর্শকে অমান্য করে মীমাংসার বদলে ডিআই কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন। যুদ্ধ থামানোর বদলে দুপক্ষকে এক জায়গায় ডেকে যুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করেছেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।' আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ১৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই-কে হাইকোর্টে তলব করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একই সঙ্গে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির আইনজীবীকেও প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।