জিমে মেদ ঝরাতে গিয়ে বিপত্তি! অসুস্থ হয়ে মৃত্যু তরুণীর

মঙ্গলবার অন্যান্য দিনের মতই জিমে গিয়েছিলেন ঋত্বিকা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ক্লাস শুরু হতেই আচমকা অসুস্থ বোধ করেন ঋত্বিকা।

জিমে মেদ ঝরাতে গিয়ে বিপত্তি! অসুস্থ হয়ে মৃত্যু তরুণীর

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু যুবতীর। মৃত ওই যুবতীর নাম ঋত্বিকা দাস। বাড়ি বাঁশদ্রোণীর নিরঞ্জন পল্লীতে। জিমের ক্লাস শুরু হওয়ার ২-৩ মিনিটের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ওই যুবতী। সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অন্যান্য দিনের মতই জিমে গিয়েছিলেন ঋত্বিকা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ক্লাস শুরু হতেই আচমকা অসুস্থ বোধ করেন ঋত্বিকা। জ্ঞান হারায় সে। তড়িঘড়ি তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও ওই তরুণীর মৃত্যুর পিছনে অতিরিক্ত পরিশ্রম নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, গত দুই বছর ধরে জিমে যান ঋত্বিকা। সেভাবে কোনওদিন শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়নি তাঁর। কিন্তু, মঙ্গলবার তিনি আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে আনেন তাঁর ট্রেনারদের। এই তরুণীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়া শুরু করলে তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

এদিকে শরীরে মেদ ঝরাতে জিমে গিয়ে বিপদ ডেকে আনা হচ্ছে না তো তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, একদিকে যেমন অসংখ্য জিমের হাতছানি রয়েছে, তেমনই জিমগুলিতে উপযুক্ত প্রশিক্ষকের অভাব। বাড়ছে অ্যাপ নির্ভর যোগা, মেডিটেশন, ডায়েটিং-এর কদর। এর পিছনে সমূহ বিপদ লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে।